বিজেপির হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি বলে অভিযোগ : উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে

20th March 2021 8:52 am বাঁকুড়া
বিজেপির হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি বলে অভিযোগ : উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের বিষ্ণুপুরে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। অভিযোগ বিজেপির নেতা ও কর্মীরা চড়াও হয় মারধোর করেছে। শুক্রবার রাতে বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি স্বপন কুমার দত্ত। অভিযোগ, তাকে পাঞ্চ দিয়ে মাথায় ও নাকে ব্যাপক মারধোর করে বিজেপির এক নেতা ও কর্মীরা। আর এই আচমকা আক্রমণের ফলে গুরুতর আহত অবস্থায় এই তৃণমূল নেতাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতা বিজেপিকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন এলাকায় অশান্তি তৈরী করছে বিজেপি । হারার ভয়ে গুন্ডাগিরি শুরু করেছে । এইভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না ।

কিন্তু ঘটনাটা ঠিক কি ঘটেছিল? প্রাথমিক চিকিৎসার পর আক্রান্ত তৃণমূল নেতা স্বপন কুমার দত্ত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন কয়েকদিন ধরেই বিজেপির বেশ কয়েকজন হুমকি দিচ্ছিলেন । অভিনেতা দেবের রোড শো শেষ করে দোকানে বসেছিলেন যখন তখন ই হামলা চালানো হয় । 

যদিও এই অভিযোগ সম্পুর্ন উড়িয়ে দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী তন্ময় ঘোষ। সর্বোপরি এই ঘটনার তার কাছে কোনো খবর নেই বলে বিজেপি প্রার্থী বলেন , তৃণমূল নিজেদের কোন্দল এর দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে । সব জায়গাতেই এক ই কায়দায় চলছে তারা । বিজেপি র দিকে মানুষের সমর্থন বাড়ছে তাতেই আতঙ্কিত তৃণমূল এসব বলছে । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।